শেখ হাসিনা গণতন্ত্র সম্মেলনের তোয়াক্কা করেন না: কাদের
গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দিল না দিল, শেখ হাসিনা তা তোয়াক্কা করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ এমন মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দিল আর দিল না, তা শেখ হাসিনা তোয়াক্কা করেন না। আমার দেশে আমিই গণতন্ত্র আমি ঠিকমত চালাচ্ছি কিনা, আমার দেশে নির্বাচন ঠিকমত হচ্ছে কিনা, জনগণ কথা বলতে পারছে কিনা, স্বাধীনতা আছে কিনা, জনগণ হেসে-খেলে শান্তিতে আছে কিনা, সেটাই আমার গণতন্ত্র।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে কে আমন্ত্রণ করল, কার কথায় সম্মেলন সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। ভারতকে তো আমাদের সঙ্গে তারা জড়িয়েই ফেলেছে। কত জায়গায় গেলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য কত তদবির করলেন, এলো নিষেধাজ্ঞা?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন এই বিশ্ব সংকটেও শেখ হাসিনার ওপর খুশি। শেখ হাসিনার সততায় খুশি। শেখ হাসিনার উন্নয়নে খুশি। মন খারাপ শুধু বিএনপির। তাদের মন খারাপ। উন্নয়ন দেখলে ভাল লাগে না। অন্তর জ্বালা।’
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই বিশ্ব সংকটেও সরকার অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জিনিসপত্র কিনছে। ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সময় আছে শুধু খাম্বা, বিদ্যুৎ নাই। তারেক রহমান তো খাম্বা ব্যাপারি। হাওয়া ভবন ছিল খাওয়া ভবন।’
‘শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ সেটি করেননি। তারা উচ্চ শিক্ষিত এবং চাকরি করে খান। নিজের পকেটের উন্নয়ন করব না। মানুষের উন্নয়ন করব। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার রাজনীতি।’-বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির মুখে আবার খই ফুটেছে। লো মোশন। গণ-অভ্যুত্থান আর গণজাগরণ। স্লো মোশন পদযাত্রা। শর্ট মার্চ থেকে এখন লং মার্চ পদযাত্রা, গণঅভ্যুত্থান, সরকার পতন সব ভুয়া। কই আন্দোলন?’
আমেরিকাও বিএনপির পক্ষে নাই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমেরিকার নাই, এখন যাবেন কোথায়? বিদেশি বন্ধুরাও নাই, দেশে পাবলিক নাই, বিদেশেও বন্ধু নাই, বিএনপি বন্ধুহীন মনে পড়ছে।’
বিএনপি দেশকে আফগানিস্তান বানাবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদপুর এখন আলোয় আলোকিত। এই নগরী এখন উন্নয়নের ঝলকে আজ আলোকজ্জ্বল। মোহাম্মদপুরে, আদাবরে যে দিকেই তাকাবেন, উন্নয়ন, শুধু উন্নয়ন চারদিকে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর থানা, শেরে বাংলা নগরের অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।