May 5, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৌলবাদী অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্রকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে

 

শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে সিটি মেয়র

 

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, যুগযুগ ধরে বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে একসাথে বসবাস করে আসছে। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াত এবং দেশী-বিদেশী চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণে তারা বিভিন্ন সময়ে শান্তি প্রিয় মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অশান্ত করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের এই সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দাড়াতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মকে পুঁজি করেই বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক আদর্শ। তারা বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে দেশে উগ্রজঙ্গী মৌলবাদের সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করেছে। বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই সকল মৌলবাদি জঙ্গী তৎপরতার কারনে আমেরিকাসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলি জঙ্গী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। একটি জঙ্গী সংগঠনের সাথে আরেকটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের রাজনীতি এক কাতারে থেকে রাজনীতি চলে না। সে কারনেই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর রাজনীতির শুরু থেকেই রাজনীতি দিয়ে সকল অগণতান্ত্রিক স্বৈরচারী এবং সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে এসেছে। তাই আজ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে পরিণত হয়েছে। সেকারনেই আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি দিয়ে সকল মৌলবাদী অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্রকে চিরতরে বন্ধ করে ফেলি।

গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও উগ্রজঙ্গী মৌলবাদ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা, মন্দির ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রূপসা ট্রাফিক মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো: ফারুক আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মজিবর রহমান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সদর থানা আ’লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, শফিকুর রহমান পলাশ। সভা পরিচালনা করেন নগর আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, কাউন্সির জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, শেখ আবিদ হোসেন, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান সাগর, কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মো. মোতালেব মিয়া, অধ্যা. এবিএম আদেল মুকুল, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ মো. আবু হানিফ, মীর বরকত আলী, এমএ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, শেখ আবিদউল্লাহ, নুর ইসলাম, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. জাহিদুল হক, চ. ম. মুজিবর রহমান, মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আব্দুল আজিজ, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাদল সরদার বাবুল, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এমরানুল হক বাবু, মো. শিহাব উদ্দিন, ওয়াহিদুজ্জামান পলাশ, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আযম খান, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, শেখ মো. রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, মীর মো. লিটন, মো. মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, ইউসুফ আলী খলিফা, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, শওকত হোসেন, তাজুল ইসলাম, কবীর পাঠান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, ইয়াছির আরাফাত, শহীদুল হাসান, মাহামুদুর রহমান রাজেস, রুম্মান আহমেদ, ওমর কামালসহ হিন্দু, খ্রীষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শান্তি ও সম্প্রীতি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *