May 18, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার : ওবায়দুল কাদের

সরকার করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়টি আমাদের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনায় আছে। আমাদের ভাবনায়ও আছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, সময় মতো বিষয়টির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
ওবায়দুল কাদের রোববার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উদাযাপনকে ঘিরে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্ক, উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। করোনা ভাইরাসটি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আমাদের জনগণের মধ্যে এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯ টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। নতুন নতুন দেশ আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রবাসীদের দেশে ফেরা বন্ধের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার থেকে এদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শনিবার থেকে কঠোরভাবে বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে প্লেনের মাধ্যমে আগমন নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা যায় কিনা তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেবল মাত্র চীনই দেখছি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কিভাবে কন্ট্রোল করতে পারছে সে বিষয় শেয়ার করার জন্য আমাদের কাছে তাদের একটা চিঠি এসেছে। তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছে। এ ধরনের সংক্রামণ এবং বিস্তার রোধ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা সহানুভূতির হাত প্রসারিত করে চীন চিঠি দিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত। প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। সরকার যেমন প্রস্তুত আমাদের দলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশবাসীকে সর্তক করতে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা নেই। যারা সংক্রমিত তারা বিদেশ থেকে এসেছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ নিয়ে কাদের বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে চাইনিজ কর্মীদের কেউ কেউ ছুটিতে গেছেন কিন্তু তার সংখ্যা খুব বেশি না। আমাদের এখানে ১ হাজারের মতো চাইনিজ কর্মী কাজ করেন। ছুটিতে গেছেন ২৫০ জন। এদের মধ্যে কেউ চলে এসেছেন। আমাদের ৪১ টি স্প্যানের মধ্যে ২৬টি স্প্যান বসে গেছে। আগামী দুই মাস পর্যন্ত যদি এই অবস্থা অব্যাহত থাকে তাতেও কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হব না। কাজ যথারীতি এগিয়ে যাবে। এই জুলাই মাসের মধ্যে ৪১টি স্প্যান বসে যাবে। এরপর অন্যান্য কাজ চলবে। ২০২১ সালের জুন মাস আমরা টার্গেট দিয়েছি সেভাবেই কাজ চলছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পিদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *