শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দাবি বিএনপির
চাঁদপুরে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এ বক্তব্য তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সংসদে নির্বাচন কমিশন বিল ২০২২ উত্থাপন বিষয়ে আলোচনা হয়। ইতোপূর্বে বিএনপি সুনির্দিষ্টভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে প্রকাশ করেছে। বিএনপি মনে করে যেহেতু এই সংসদ জনগণের ভোটে বৈধভাবে নির্বাচিত নয় সেহেতু এই সংসদের কোনো নৈতিক এখতিয়ার নেই এ ধরনের আইন প্রণয়নের।
তিনি বলেন, গোপনীয়তার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে এই আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা আওয়ামী লীগের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আর একটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশা মাত্র। তাছাড়া বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো নির্বাচন কমিশনই অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না যদি না নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে ১২টি শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘ মিশনে র্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছে, বিএনপি বিষয়টি পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ খতিয়ে দেখবে এই মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। সভা মনে করে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, খুন, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য র্যাবসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এর সুদূর প্রসারী প্রভাব বাংলাদেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, সভায় সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পত্তি হত্যার তদন্তের চার্জশিট আদালতে পেশ করার তারিখ ৮৫ বার পেছানোয় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা প্রকাশ করা হয়। মামলাটি রহস্যজনকভাবে বছরের পর বছর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করায় সরকারের দুরভিসন্ধি ও ব্যর্থতা জনমনে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করা হয়। প্রকৃত পক্ষে এই ব্যর্থতার সব দায়ভার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বর্তায় বিধায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ দাবি করা হয়।