লাদাখে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছিল ভারতের ৭৬ সেনা
লাদাখে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ভারতের কর্নেল পদমর্যাদার একজনসহ ২০ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছিল আরও ৭৬ জন। তারা প্রত্যেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য। আহতদের মধ্যে ১৮ জন লেহের হাসপাতাল এবং বাকি ৫৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৯ জুন) এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, চিকিৎসাধীন কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তারা দ্রুত কাজে যোগ দিতে পারবেন। যারা লেহের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা ১৫ দিনের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাকিদের সময় লাগবে আরও কম।
সোমবার (১৫ জুন) রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা সদস্য নিহত হয়। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে জানানো হয়েছিল সংঘর্ষে কর্নেল পদমর্যাদারসহ তাদের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সৈন্যদের স্থাপিত একটি তাঁবু ভারতীয়রা সরাতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় এনডিটিভি।
সংঘর্ষে চীনা সেনারা লোহার রড, লোহার রডের ওপর পেরেক পোঁতা হাতে তৈরি অস্ত্র ও কাঁটাতারে মোড়ানো পাথর ব্যবহার করেছে বলে ভারতের অভিযোগ।
সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা বলেনি বেইজিং। যদিও ভারত দাবি করছে, সংঘর্ষে চীনেরও কমপক্ষে ৪৫ জন সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন। আর চীনের হাতে ভারতীয় সৈন্য আটক হয়ে থাকতে পারে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সূত্র ধরে দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধানে দুই পক্ষই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চীন ও ভারতের মধ্যে প্রাণহানি হওয়ার মতো এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। ১৯৬২ সালে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়।