রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকবে তুরস্ক
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় তুরস্ক সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু।
তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, তা বিশ্বে বিরল। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান দরকার। বিশ্ব নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই কেবল এটি সম্ভব। যতদিন এ সংকট কাটছে না, ততদিন বাংলাদেশের পাশে থেকে সংকট সমাধানে এবং রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে তুরস্ক
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেলো বছরের ২২ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া তার্কিশ সরকারি সংস্থা আফাদ পরিচালিত ৫০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের পুনরায় উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানও বক্তব্য দেন। পরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে আশ্রয়হারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণাধীন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা যুবকদের সঙ্গে কিছুটা সময় খেলায় মাতেন আর বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম এবং তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন পরিচালিত রোহিঙ্গা দ্বারা সাবান তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইসমাইল ছাতাকলু, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার খালিল বল দামির, তুরস্কের দুজন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক নাইমুল হক, ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক, ৮ এপিবিএন অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান, উখিয়া সার্কেল এএসপি শাকিল আহমেদ, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে শনিবার সকাল ৮টায় বিশেষ বিমানযোগে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এরপরই তার বহর ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টার দিকে তিনি কক্সবাজারের পৌঁছান। পরে সেই বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। ক্যাম্পে এপিবিএন সদস্যরা তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি শুভেচ্ছা উপহারও দেন।