রেকর্ড মৃত্যুর দিনে শনাক্ত সর্বাধিক রোগী
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার তিন মাসের মাথায় এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মত তিন হাজার ছাড়িয়ে গেল, সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭৫ জন।
এই এক দিনে আরও ৩ হাজার ১৭১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৭৭ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৩৩৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
এরপর গত ২ জুন দুই হাজার ৯১১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এতদিন একদিনের সর্বোচ্চ ছিল। আর রবি ও সোমবার ৪২ জন করে মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়েছিল বুলেটিনে, মঙ্গলবার সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, ১২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের ও ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৪৫ জনের মধ্যে ৮ জনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৫৫টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, সারা দেশে এখন কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ৫৬টি ল্যাব চালু হয়েছে। নতুন যুক্ত হয়েছে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গত ২৪ ঘণ্টায় ফলাফল এসেছে ৫৫টি পরীক্ষাগার থেকে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৫৫৭ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন রোগী।