June 1, 2024
আঞ্চলিককরোনালেটেস্ট

খুলনায় বৃহস্পতিবার থেকে দোকানপাট বন্ধ, মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা

দ. প্রতিবেদক : ঈদের পর থেকে খুব অল্প সময়ে খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ফুটপাথে কোন হকার অবস্থান করবেন না। ইজিবাইকসহ অন্যান্য যান চলাচল সীমিত করা হবে। মানুষের ভীড়, মাস্ক ছাড়া চলাচল বরদাশত করা হবে না। মাস্ক ব্যবহারের নামে নাক-মুখ উন্মুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গঠিত কমিটির সভায় এসকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন খুলনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন।

সভায় আরও যে সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়: অধিক সংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের লক্ষ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজে আরও একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হবে। বর্তমানে ঐ ল্যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায় যা যথেষ্ট নয়। এছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজেও একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

খুলনায় ক্রমাগতভাবে কোভিড-১৯ রোগী বাড়তে থাকলে তাদের চিকিৎসায় খুলনা সদর হাপাতালের চতুর্থ তলায় ৪২টি বেড প্রস্তত করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট লাঘবে ডায়বেটিক হাসপাতালে দুটি অক্সিজেন হাই ফ্লো নজেল ক্যানেল ক্রয়েরও সিদ্ধান্ত হয়। কোভিড-১৯ রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন পড়লে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাঁচটি ডায়ালাইসিস বেড ব্যবহার করা হবে। খুলনার সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো সংগ্রহ করে খুলনা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হবে। করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে আরও একটি গাড়ি সিভিল সার্জনকে দেওয়া হবে। নগরীর রয়্যাল মোড়ে অবস্থিত দূরপাল্লার গাড়িগুলোর কাউন্টার থেকে যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ থাকবে।

১১ হতে ২৫ জুন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা ও কার্যক্রম বাড়ানো হবে। সন্ধ্যার পর চলাচল বন্ধ থাকবে। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং জরুরি সেবা বাদে সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

সভায় জানানো হয়, এই মুহুর্তে খুলনায় ২১৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪২ জনই খুলনা নগরীতে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলিম, জেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার রুহুল আমিন, খুলনা প্রেসক্লাবে সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *