রূপপুরের মালবাহী রাশিয়ার সেই জাহাজ ভিড়েছে ভারতের বন্দরে
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা সেই রাশিয়ার জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে নোঙর করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। পণ্যগুলো ভারতে খালাস করে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়াটাইমসের খবরে বলা হয়েছে, জাহাজের পণ্য ভারত থেকে সড়কপথে রূপপুরে আনা হবে। তৃতীয় দেশে প্রকল্পের জন্য ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বের অধীনে এনপিপি নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ভারত।
বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর পর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেয় জাহাজটি। এরপর ভারতের দিকে যাত্রা করে। ভারতের সব বন্দর রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজের জন্য উন্মুক্ত। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।
জাহাজকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সেসময় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিং বলেন, ‘আমরা জেনেছি যে জাহাজ থেকে কার্গো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে আনলোড করা যেতে পারে। সেখান থেকে, অন্য একটি জাহাজ রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য চালান বহন করতে পারে।’
খুলনা কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের অপারেশন অফিসার সাধন কুমার বলেন, ‘অতীতে রূপপুর এনপিপির চালান মংলা বন্দরে রাশিয়ান এবং নিরপেক্ষ, বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল। বন্দরে কার্গো খালাসের পর, তাদের রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ডিসেম্বেরের শেষদিকে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে আসে রাশিয়ার জাহাজটি। সেসময় জানা গিয়েছিল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে এমন একটি জাহাজের নাম ও রঙ পাল্টে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে এসেছে রাশিয়া। জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে রাশিয়া চাপ দিলেও বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, উরসা মেজর নামের রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জানায় যে ওই জাহাজ আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়, সেটা মূলত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা ৩’ জাহাজ।
রঙ ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজে করে পণ্য আসছে- এটি নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সেটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি জাহাজের একটি নম্বর থাকে, যেটি তারা পরিবর্তন করেনি। ফলে বিষয়টি ধরা পড়ে যায়।