রাজধানীতে স্থাপনা নির্মাণে লাগবে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন
রাজধানীতে যেকোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সিটি করপোরেশন থেকেও অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যেকোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তিগত বাসাবাড়িসহ সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের নিকট থেকে অনুমতি নিতে গিয়ে যাতে করে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে মেয়রদের সতর্ক থাকতে হবে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে অনেকগুলো সেতু রয়েছে যার মধ্যে নেভিগেশন ফ্যাসিলিটি নেই। এমন সেতু ভেঙে নৌ চলাচল সুবিধা রেখে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব খাল সংস্কার করে একটি স্বতন্ত্র সংযোগ সেতু করলে সেটি ভেনিস শহরের মতো হবে। শুধু ফরমাল সভা করে পরিকল্পনা করলে হবে না, ফলাফল আনতে হবে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কল্যাণপুরে ১৭৩ একর জমির মধ্যে ৩ একর জমি বাদে সব জমি দখল হয়েছে। সেখানে ওয়াটার রিটেনশন পন্ডের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উত্তর সিটি কাজ করছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মোহাম্মদপুরের বছিলায় খাল দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড, মার্কেট এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তর সিটি থেকে অভিযান চালিয়ে খালের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু উত্তর সিটি নয়, দক্ষিণ সিটিরও উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। ঢাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ। ওয়াসা থেকে খালগুলো দুই সিটির কাছে হস্তান্তর করায় খাল সংস্কার, দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি আশা করি এ বছর রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সমস্যা চরম আকার ধারণ করবে না।
আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে যেন জনভোগান্তি না হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল উদ্ধার, সংস্কার, দখলমুক্ত এবং দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কমিটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার চলমান সব প্রকল্পের কাজ সমন্বয় করার তাগিদ দেন মন্ত্রী। জনস্বার্থে যে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মেয়রদের দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।
সভায় তিন মেয়র তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।