রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় : সিটি মেয়র
দ: প্রতিবেদক
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফা অর্জনের মানসিকতা এবং ট্রাকে পণ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দেয়ার কারণে রোজার মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় যা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সততার সাথে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয় করার জন্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সিটি মেয়র ব্যবসায়ীদের প্রতি রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহবান জানিয়ে বলেন, এ মাসে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এবং বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত। ইচ্ছাকৃত মূল্য বৃদ্ধির কারণে রোজাদাররা যেন কোনরূপ চাপে বা উদ্বিগ্ন না থাকেন সেজন্য ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা রাখতে হবে।
গতকাল রবিবার বিকেলে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা এবং নিরাপদ খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খুলনা মহানগরীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
সভায় জনসাধারণের সুবিধার্থে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ফরমালিন/কার্বাইড মুক্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, নগরীতে ফরমালিন/কার্বাইড যুক্ত ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদি বিক্রয় রোধকল্পে বাজারসমূহে সার্বক্ষণিক মনিটরিং-এর জন্য অভিযান পরিচালনা, কেসিসি’র আওতাধীন বাজারসমূহে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক তদারকি কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং খুচরা বিক্রেতাগণকে দোকানে পাকা রশিদ সংরক্ষণের আহবান জানানো হয়। এছাড়া কেসিসি পরিচালিত বাজারসমূহকে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বাজারে পরিণত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পণ্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণের নিকট পৌছে দিতে নির্ধারিত ডিলারের পাশাপাশি ৫টি ট্রাকে করে মহানগরীর ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিক্রয়ের কার্যক্রম চলছে বলে সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অবহিত করেন।
কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মো: আমিনুল ইসলাম মুন্না, বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী, এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন, মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ, শেখ মোসারাফ হোসেন, কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, গোলাম মওলা শানু, জেড এ মাহমুদ ডন, ফকির সাইফুল ইসলাম, এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, মো: আরিফ হোসেন মিঠু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, সাহিদা বেগম, রহিমা আক্তার হেনা, শেখ আমেনা হালিম বেবী, মাহমুদা বেগম, মাজেদা খাতুন, লুৎফুন নেছা লুৎফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) পলাশ কান্তি বালা, সচিব মো: আজমুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহমান, ভেটেরিনারী অফিসার ডা. মো: রেজাউল করিম, বাজার সুপার সেলিমুর রহমান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো: সাহেব আলী, জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ মতিন পান্না, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এম এ কাফি, কেসিসি পাইকারি কাচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নাসির, সন্ধ্যা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন আশেক, খালিশপুর নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আল আমিন, খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাসান মোঃ হাফিজুর রহমান, খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: শফিউল আযম আদু, মিস্ত্রিপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি মো: রবিউল ইসলাম দুলাল, শেখপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি ডা. এ বাসার, খুলনা কাঁচা ও পাকা মাল আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, খুলনা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহীম ফায়জুল্লাহ, মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, কেডিএ নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আমিনুল ইসলাম, ছাব্বিশ বাজার খুচরা কাচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, ফুলবাড়িগেট বাজার কমিটির সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, খুলনা জেলা লবন মিল সমিতির সভাপতি অনিল পোদ্দারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।