May 20, 2024
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ঘরে থাকার নির্দেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ঘরে থাকার নির্দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করা হয়েছে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়।

খবরে জানানো হয়, শনিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের কনকর্ড, মেরিল্যান্ড রাজ্যের অ্যানাপলিস ও টেক্সাসের অস্টিনে ঘরে থাকার নির্দেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রাস্তায় নামেন শত শত মানুষ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, মিশিগান ও ভার্জিনিয়ার রাজ্যেও একই ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা করোনা মোকাবিলায় ঘরে থাকার সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনকর্ডের বিক্ষোভে প্রায় ৪শ’র মতো বিক্ষোভকারী অংশহগ্রহণ করেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানানো হয়।খবরে জানানো হয়, মাস্ক না পরেই নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় ছাড়া বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। এসময় তারা ‘নিউ হ্যাম্পশায়ার খুলে দাও’ শিরোনামের প্ল্যাকার্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বহন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমকালীন ‘মুক্তভাবে বাঁচো না হয় মরো’ স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্কিপ মারফি ফোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জনগণ আনন্দের সঙ্গেই নিজেদের প্রয়োজন স্বেচ্ছায় বাছাই করে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ করবো কিন্তু একই সময়ে রাষ্ট্রের উচিত স্বাধীনতা দেওয়া।’

অন্যদিকে টেক্সাসের অস্টিনের বিক্ষোভে অন্তত ২৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী অংশ নেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জাস্টিন গ্রিস বলেন, ‘টেক্সাস খুলে দেওয়ার এখনোই সময়, যাতে লোকেরা কাজ করতে পারে। এখন সময় মানুষকে স্বেচ্ছায় যোগাযোগের সুযোগ দেওয়ার।’

মেরিল্যান্ডের অ্যানাপলিসে বিক্ষোভকারীরা তাদের গাড়িতে থেকেই বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ‘দারিদ্র্রও হত্যা করে’ শিরোনামের প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

এছাড়াও কলোম্বাস, ওহিও, সান ডিয়েগোসহ বিভিন্ন শহরে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ছাড়াই মার্কিন পতাকা হাতে বিক্ষোভ করা হয়।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এক সিরিজ টুইটের মাধ্যমে মিনেসোটা, মিশিগান ও ভার্জিনিয়ায় ঘরে থাকার নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সংখ্যা বিশ্বের একক কোনো দেশের কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ভাইরাস সংক্রমণে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ হাজার ১৫ জন রোগীর।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম ২৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি অঙ্গরাজ্যে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশটির ৪২টি অঙ্গরাজ্যে এ নির্দেশ জারি করা হয়েছে

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *