যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১, বেড়েছে জিপিএ-৫
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলে যশোর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও কমেছে পাসের হার। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৭ দশমিক ৩১ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৮ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৯ হাজার ৯৪৮ জন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। ‘এ’ গ্রেড ৪২ হাজার ১০৮, ‘এ’ মাইনাস গ্রেড ৩৩ হাজার ৪০৬, ‘বি’ গ্রেড ৩০ হাজার ৩৭৪, ‘সি’ গ্রেড ২০ হাজার ২৩৯ জন এবং ডি গ্রেডে ৩৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
২০১৯ সালে এক লাখ ৮২ হাজার ৩১০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৮ ও জিপিএ-৫ ছিল ৯ হাজার ৯৪৮ জন। ২০১৮ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৬৪ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৯ হাজার ৩৯৫ জন। ২০১৭ সালে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৫ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৪৬০ জন।
এদিকে যশোর বোর্ডের ১০ জেলার ফলে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় ১৮ হাজার ৫৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন পাসের হার মেহেরপুর জেলায়। এই জেলায় ৭ হাজার ৭৮৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৯৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার মোটেই পাস করেনি দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি গার্লস স্কুল ও দেবহাটা উপজেলার বাবুরাবাদ ধাপুখালী সেকেন্ডারি স্কুল।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ২২ হাজার পরীক্ষার্থী কম ছিল। সেই তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি বেড়েছে। যশোর বোর্ডে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেয়া হয়।
আর এই প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয় মূল বই থেকে। শিক্ষার্থীদের মূল বই পড়ার অভ্যাস করতে পেরেছি। এ জন্য হয়তো জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেমন অভিযোগ ছিল না। তেমন কঠিন হয়নি, পাস করার মতো ছিল প্রশ্নপত্র। তিনি আরও বলেন, গত বছর মোটে পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান ছিল একটি। এবার দুটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। ওই প্রতিষ্ঠানে একজন করে পরীক্ষার্থী ছিল। তারা অনিয়মত পরীক্ষার্থী ছিল।