মোদীর ঢাকা সফর প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার বিব্রত নয়: কাদের
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর একটি অংশের প্রতিহত করার ঘোষণায় সরকার মোটেও বিব্রত নয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা বিরোধিতা করছে উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। মোদীর সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সোমবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোনো আশ্বাস পাওয়া গেলো কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, আসার আগেই সমাধানের আশ্বাস- এটাতো ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ইতোমধ্যেই নতুন কিছু বলেছেন। তিনি তো কিছু বাদ রাখেননি, সব কথাই বলেছেন। তিনি আসছেন মুজিববর্ষ উপলক্ষে। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতে প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী টু প্রধানমন্ত্রী আলোচনা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ওই পর্যায়ে যে আলোচনা হবে সেটা এখন আর করার প্রয়োজন নেই। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্র সচিব তো অনেক দিন আমাদের এখানে হাইকমিশনার ছিলেন। তখন আমাদের রোড়স অ্যান্ড ব্রিজেসের বিভিন্ন প্রকল্প আছে ভারতের সঙ্গে, সেগুলো নিয়ে প্রায়ই আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতো। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যে কারনে তিনি এই সংক্ষিপ্ত সফরেও আমার সঙ্গে তার সাক্ষাতের একটি কর্মসূচি বলেছেন রাখতে।
‘সমস্যা নিয়ে তো উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হবেই দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। কাজেই আলোচনাটা কী হবে আমি এ মুহূর্তে বলতে পারবো না। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরো কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুনছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় আরো অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বিচার করলে চলবে না। সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। সরকার শক্ত হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। আশা করি এই পরিস্থিতি দু’দেশের সস্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।