May 7, 2024
আঞ্চলিক

মোংলায় নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিষদ গঠন

মোংলা প্রতিনিধি

নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করে চরম বিপাকে পড়েছে মোংলার অন্তত ৭শ’ গ্রাহক। গ্রাহকরা তাদের আমানতের ৩০ কোটি টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগের টাকা ফেরত সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। মমিনুল ইসলামকে আহবায়ক ও আলমগীর হোসেন শিকারীকে সদস্য সচিব করে গঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ সংগ্রাম পরিষদ ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইনী প্রকৃয়া তরান্বিত করার লক্ষ্যে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, স্মারকলিপি প্রদান, প্রকল্প কর্মকর্তা আঃ মান্নানের কার্যালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট বাগেরহাটের কর্নধার আঃ মান্নান তালুকদার বাগেরহাট, মোংলাসহ পার্শবর্তী এলাকায় কোম্পানির মাঠ কর্মকর্তা/ দালাল নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ধর্মপ্রাণ সহজ সরল মানুষদের হালাল ব্যবসা ও লভ্যাংশের প্রলোভন দিয়ে শত শত গ্রাহক সংগ্রহ করে। বিশেষ করে মোংলার ৭’শ গ্রাহকের নিকট থেকে জন প্রতি ২৫ হাজার থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানত সংগ্রহ করেছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট কর্মকর্তারা। মাসে লাখ প্রতি অন্তত ২ হাজার টাকা লভ্যংশসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাসে প্রলুব্ধ হয়ে শুধু মোংলার গ্রাহকরা প্রায় ৩০ কোটি টাকা জমা করেছে এ প্রকল্পে। প্রথম দিকে গ্রাহকদের লভ্যংশ সঠিক ভাবে প্রদান করায় গ্রাহক সংখ্যা দ্রæত বেড়ে যায়। তবে ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে প্রকল্প কর্মকতারা গ্রাহকদের সকল প্রকার লভ্যংশ আসল আমানত ফেরত প্রদান বন্ধ করে দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মাঠ পর্যায়ের আমানতকারীরা। এক পর্যায় গ্র্হকরা বুঝতে পারেন তারা প্রতারনার শিকার হয়েছেন আঃ মান্নান ও তার দোষরদের হাতে। নানাভাবে গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে মাঠ পর্যায়ের দালালদের চাপ প্রয়োগ করলে তাদের অধিকাংশই গা-ঢাকা দেয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বাগেরহাট জেলা কর্মকর্তা আঃ মান্নানের নামে দুদকের ১১০ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় ১৫ জুলাই থেকে তিনি জেল আহতে রয়েছে।

এতে গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পেতে আরো শংকা দেখা দেয়ায় তারা এ সংগ্রাম পরিষদ গঠনসহ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। আমানতকারীরা তাদের আমানত ফেরত পেতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *