April 24, 2024
আঞ্চলিক

মোংলায় চলছে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি

বাগেরহাটের মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় চলছে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন।

এদিকে কর্মবিরতির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় বিদেশি জাহাজে আসা আমদানি করা বিভিন্ন পণ্য নদী পথে পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতী চলমান থাকলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানিকারক ব্যাবসায়ীরা। আর উৎপাদন ব্যাহত হবে এ অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বলে দাবি ব্যাবসায়ীদের।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ মোংলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক মামুন হাওলাদার বলেন, ‘দেশে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু শুধু নৌযান শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা বাড়েনি। নৌযানে পণ্য পরিবহনের ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু নৌ শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। বারবার মালিক পক্ষ ও সরকারের কাছে আবেদন করেও আমাদের কোনো লাভ হয়নি। গত ১৯ নভেম্বর সরকার ও মালিক পক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে আমরা এই কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

নৌযান শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে, নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়াসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়াসহ ভারতীয় সীমানায় সব প্রকার হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ শতাংশ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *