May 4, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁস: সন্দেহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস

সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল, আর্মডফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সন্দেহে রয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস। ওই প্রেসে কর্মরত সদস্য বা তাদের পরিবারের কেউ মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তদন্তকারী এ সংস্থার সাইবার ক্রাইম পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস।

গত ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার দল। গ্রেফতারের সময় চক্রের মূলহোতা জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করে সিআইডি। আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির সাইবার ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ১৯৮৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে একটি প্রেস থেকে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। ওই প্রেসে চাকরি করে এমন সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো এসব কাজে যুক্ত থাকতে পারে।

‘গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যরা ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপাখানা থেকে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যা মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। ’

সিআিডির এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। যার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিল ৪৭ জন। এদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় তদন্ত করার সময়ে ২০১৮ সালে একটি চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। গত ১৯ জুলাই এস এম সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সাইবার পুলিশ।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সানোয়ার ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিপরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া মুন্নু, পারভেজ খান, জাকির হোসেন দিপু এবং সামিউল জাফর সিটুকে গ্রেফতার করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *