মিয়ানমারে বিক্ষোভে ‘গুলি’, রাস্তায় সাঁজোয়া যান
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমনে দিন দিন খড়গহস্ত হচ্ছে জান্তাবাহিনী। রোববার একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া, বড় বড় নগরীতে রাস্তায় সাঁজোয়া যান টহল দিতে শুরু করেছে। গণবিক্ষোভ দমনে শনিবার রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে।
ওই আইন অনুযায়ী, রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেপ্তার ও নাগরিকদের বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা নয়দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে।
রোববার উত্তরের রাজ্য কোচিতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে সেনা মোতায়েন করার পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী নগরী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের দখল নিয়েছে।ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, কোচির রাজধানী মিতকিনা নগরীতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়ছে। তবে তারা তাজা গুলি নাকি রাবার বুলেট ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা নামার পরপরই বাণিজ্য নগরী ইয়াংগন, মিতকিনা এবং রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে সড়কে সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়।
মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে আমেরিকানদের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে’ বলা হয়েছে।মিয়ানমারের সরকারি কর্মীরাও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে কাজে যাওয়া বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কর্মীরা কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইয়াংগনে রোববার কয়েকশ রেলওয়ে কর্মী কাজে না গিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের আবাসিক কম্পাউন্ডে গিয়ে কাজে যেতে বলেছে। পরে অবশ্য ভিড় জমে গেলে পুলিশ সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।
চিকিৎসকসহ আরো বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মীরা কাজে যওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। জান্তা শাসকরা সরকারি কর্মীদের কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেনাবাহিনী রাতে লোকজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।