November 13, 2024
আন্তর্জাতিক

মাস্ক তৈরির কারখানা পরিদর্শনে গিয়েও মাস্ক পরেননি ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘অর্থনীতি ফের চালু হলে আরও বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হতে পারে।’ যদিও মাস্ক তৈরির একটি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেছেন, মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এবং বন্ধ অর্থনীতি ফের চালু করলে মৃত্যু আরও বাড়বে কিনা জানতে চাই ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, এরকম সম্ভাবনা রয়েছে।’

মঙ্গলবার (৫ মে) আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সের হানিওয়েল ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে যান ট্রাম্প, যা লকডাউন শুরুর পর তার প্রথম বড় ভ্রমণ।

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর আসন্ন নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সব প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাইরাসের সংক্রমণে ইতোমধ্যে ৭১ হাজার মার্কিন নাগরিক মারা গেছেন এবং আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যদের জন্য মাস্ক তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকায় হানিওয়েলের কর্মীদের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশ ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি।’

এদিকে বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

ট্রাম্প বলেন, ‘মাইক পেন্স এবং টাস্কফোর্স অসাধারণ কাজ করেছে কিন্তু এখন আমরা কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে বিষয়টি দেখছি এবং সেটি হচ্ছে নিরাপত্তা এবং কার্যক্রম চালু। এ জন্য আমরা ভিন্ন একটি দল গঠন করবো।’

হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের বিশেষজ্ঞ ডা. ডেবোরাহ বির্ক্স এবং ডা. অ্যান্থনি ফসি করোনা ভাইরাস বিষয়ে কাজ অব্যাহত রাখবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা থাকবেন এবং অন্য চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন।’

এসময় তিনি সুরক্ষার জন্য বিশেষ চশমা পরে থাকলেও মুখে মাস্ক পরেননি। যদিও ওই কারখানায় ‘দয়া করে সবসময় মাস্ক পরে থাকুন’ এধরনের সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া ছিল।

ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরতে বলা হলেও শুরু থেকেই এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে আসছিলেন ট্রাম্প। দীর্ঘদিন পর হোয়াইট হাউস থেকে বের হলেও মাস্ক না পরার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তিনি।

যেহেতু টাস্কফোর্স ভেঙে দেওয়া হবে সেহেতু তার ‘কাজ সম্পন্ন’ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, একদমই না। কাজ তখনই সম্পন্ন হবে যখন এ সবকিছু শেষ হবে।’

সমালোচকদের অভিযোগ, নভেম্বরের আগে এক প্রকার জোর করেই অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলছেন ট্রাম্প।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *