মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্ত ২৫ নভেম্বরের পর : মন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মালয়েশিয়ার বন্ধ থাকা শ্রমবাজার শিগগির খোলার আশা জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, কবে নাগাদ শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে সেই সিদ্ধান্ত হবে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্র“পের সভার পর।
গতকাল মঙ্গলবার মালয়েশিয়া সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্র“পের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। গ্র“পের সভার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পুনরায় শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদী।
মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয় ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।
কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে অন্তত ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর গত বছর ওই ব্যবস্থা স্থগিত করে দেশটির সরকার।
এরপর গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পান।
শ্রমবাজার খুলতে সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে গত ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া সফরে যান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সফরে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাতে শ্রমবাজার খোলার ক্ষেত্রে সরকার প্রধানের সহযোগিতা চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, আলোচনায় উভয় দেশ মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার সম্ভব দ্রুত সময়ে খোলার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেছে।
তিনি বলেন, ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিড়ম্বনা নিরসনে বাংলাদেশ থেকে বহির্গমনের পূর্বে মাত্র একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, এবার থেকে আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা বাড়াব। এক্ষেত্রে যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংস্থা কর্মী নেওয়ার বিষয়ে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে চাহিদা দেবে, এরপর কর্মী যাবে।