মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। আগামী মার্চের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত একসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সচেতনতা এবং প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তার আট বছর পর ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি ঘোষিত হয় বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফা জব্বার।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোনো নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোনো রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০০৮ সালের ডিজিটাল কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থনৈতিক অগ্রগতির অপরিহার্য অংগ। তিনি ইন্টারনেটকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।