মাদকমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে : সিটি মেয়র
দ: প্রতিবেদক
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেনন, ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পর তার সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত যদি চলমান থাকতো আজকে তাহলে এখানে আমাদেরকে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া লাগতো না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারের সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিলো রাস্তাঘাটে মাদক যেনো না খায় বা কোন মাদক ব্যবসা থাকবে না। শুধুমাত্র সুইপার ও বিদেশী পর্যটকরা মদ খেতে পারবেন ঘরে বসেই, বাইরে কোথাও খাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সফল করতে দলবল নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর আভা সেন্টারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা মেট্রোপলিটন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতরিক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (বিপিএম), খুলনা পুলিশ সুপার এ এম শফিউল্লাহ, খুলনা ২১-বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী, খুলনা সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মদাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত )অতিরিক্ত পরিচালক মো: আবুল হোসেন। এর আগে সকাল ৯টায় খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পপস্তক অর্পন, জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোল করা হয়। এর পর পায়রা এবং বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে ও র্যালীর মধ্যে দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্ভোধন করা হয়। এছাড়া বিকেলে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিক তত্ত¡বধানে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: রাশেদুজ্জামান ও সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র কর্মকর্তা, এনজিও ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।