May 3, 2024
জাতীয়

মাগুরায় স্ত্রী-সন্তানকে ‘হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা’

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মাগুরা শহরে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে রোববার রাতে ও সোমবার সকালে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার বিশ্বজিৎ ওরফে বিট্টু মজুমদারের স্ত্রী পূর্ণ মজুমদার (২৫) ও ১০ মাস বয়সী ছেলে।

বিট্টুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন বছর আগে বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে অভাব-অভিযোগ নিয়ে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। এই দ্ব›দ্ব থেকেই রোববার রাতে ও সোমবার সকালে ধারালো বঁটি দিয়ে বিট্টু হত্যাকাণ্ড ঘটান। ১০ মাসের শিশুটির মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুলিশ ধারালো বঁটিটি উদ্ধার করেছে।

বিট্টুর পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সর্বশেষ তারা পারনান্দুয়ালীর হাজী আব্দুর রশিদের একটি টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল বলেন, বিট্টু নির্মাণ মিস্ত্রির কাজ করতেন। সব সময় কাজ না থাকায় প্রায়ই বেকার থাকতেন। এ কারণে দারিদ্র্যপিড়ীত সংসারে কলহ হত প্রায়ই। বিট্টুর পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় পারিবারিকভাবে তারা অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল। বিট্টু তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই একপর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল।

বিট্টুর মা গীতা মজুমদার বলেন, তার ছেলে চুয়াডাঙ্গায় অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করতেন। পরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমাদের বাড়ির অদূরে রায়পাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। আমাদের বাড়িতে তাদের কোনো যাতায়াত ছিল না। সকালে আমি জ্বালানি কাঠ কেনার জন্য বের হয়েছিলাম। এ সময় লোকজনের হুড়োহুড়ি দেখে ঘটনা জানতে পারি।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *