মহামারীর মধ্যে যুগ্ম সচিবে পদোন্নতি রাজনৈতিক স্বার্থে: রিজভী
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রশাসনের শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করার পেছনে ক্ষমতাসীনদের ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের এখন এই দুর্যোগের সময়ে করোনাকালেও চলছে মহাসমারোহে একদলীয় শাসনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আয়োজন। সরকার মনে হয় মহাঅস্থিরতায় ভুগছে। সেজন্য নিজেদের পছন্দের লোকদেরকে পদোন্নতি দেয়ার হিড়িক চালাচ্ছে।
“কয়েক দিন আগে ১২৩ জন উপসচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সুপারনিউমারি পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে। এই ঘোর দুর্দিনে পদ না থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দেওয়ায় এটা সুপ্রমাণিত যে, সরকার জনগণের বাঁচা-মরাকে তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষমতাকে অনিশ্চয়তার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যত ধরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার তারা সেটিই করছে।”
গত শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে ওই পদোন্নতির আদেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রুহুল কবির রিজভী।
এর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পদ নেই, তবু পদোন্নতি চলছে আলোর গতিতে। পদ না থাকায় বেশিরভাগ কর্মকর্তাকেই আগের পদে থাকতে হবে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।”
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজন মন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং ছয়জন জেলা প্রশাসকসহ ‘আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠরা’ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘দলীয় বিবেচনায় ঢালাওভাবে’ নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
তিনি বলেন, “করোনা মহামারীতে দেশে লাশের সারি দীর্ঘ হলেও সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।তারা গদি কীভাবে রক্ষা হবে, নব্য বাকশালী শাসন কীভাবে শক্তিশালী হবে সেদিকেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
“অনেক মেধাবী কর্মকর্তা যোগ্যতা থাকার পরেও তাদের পদোন্নতি হয়নি। কুষ্ঠিনামা যাচাই করে শুধু তাদেরকেই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে যারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে নানাভাবে যুক্ত।”