মর্ত্যপ্রীতি
বিপুল কান্তি চৌধুরী : জন্মিলে মরিতে হবে এইতো নিয়ম খোদার দুনিয়ায়…………
মানব জীবনে দুটি অধ্যায়। প্রথমটি জন্ম দ্বিতীয়টি মৃত্যু। মাঝখানে কিছু সময়ের ব্যবধান।তবে সেটি কত সময়ের তা আমাদের সকলের অজানা।মাঝখানের এই সময়টায় মানুষ সুখ- দুঃখ, হাসি -কান্না,ব্যথা-বেদনা,বিরহ-মিলনে আচ্ছাদিত। মৃত্যু অবধারিত ও অনিবার্য। পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল আছে তবে যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই।যেমন সন্তান মা,বাবার আগে অথবা ছোট ভাই বোন বড় ভাই বোনের আগে পৃথিবী ছাড়ছে।মৃত্যুর পর পরলোকে পরম শান্তি ও সুখের নিশ্চায়তা প্রতিটি ধর্মেই আছে।মৃত্যুর পর পুন্যবান মানুষ পরম সুখে জান্নাত বা স্বর্গ লাভ করবে।
পৃথিবীর বড় সত্যগুলোর একটি হচ্ছে মৃত্যু। তবে এক্ষেত্রে কিছু মানুষ সম্ভাবত আলাদা।তারা পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্বকে সবসময় রাখবে বলে বোধ করি।অতি সম্প্রতি জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সব লোককে পাকড়াও করা শুরু করেছেন।যারা পৃথিবীতে প্রচলিত কাগজের নোট(টাকা)কে অগাধ করে অন্ধকারের সাম্রাজ্য বানাতে মরিয়া।যাদের জন্য বস্তির রানাদের দুঃখ কষ্ট বেড়েই চলেছে। ক্ষণকালীন জীবনে তারা নিজেদেরকে মর্ত্যপ্রীতি আর স্বজন আত্মীয়ের মায়াডোরে বেধে ফেলেছেন। মানুষ যে জন্ম-মৃত্যুর নিয়মাধীন সেটা ভুলতে বসেছে ক্যাসিনোর মালিক,ঠিকাদার,দুর্নীতিবাজ ব্যাংক লুটেরা, স্বার্থান্বেষী কিছু সরকারি কর্মচারী অথবা কিছু রাজনৈতিক নেতা।
নিজেকে ভালো রাখার অভিপ্রায়ে সোনার বাংলায় আপনি/আপ্নারা জননেত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ আপনার মধ্যে শুধুই মর্ত্যপ্রীতি।আপনাকে মরতেই হবে।আর কবরে, শশ্নানে অথবা সমাধিতে আপনার অবস্থান হবে।সেখানে দুর্নীতির কালো টাকা নিতে পারবেন না,কোনো দেহরক্ষী থাকবে না,ফোন করে একদল পুলিশ কর্মী ডাকতে পারবেন না।পারবেন না এসি চালিয়ে নিজের শরীর ঠান্ডা করতে।
পৃথিবীর মোহ বিস্তার করে যে অপরাধের সাম্রাজ্যের মালিক আপনি হয়েছেন তা শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।তাই আসুন মর্ত্যপ্রীতি বাদ দিয়ে পরপারের কথা ভেবে দুর্নীতিকে না বলি।
আজ থেকে গড়ে তুলুন মানুষ প্রীতি। যার ফলে মানুষের মনে জায়গা পাবেন শতাব্দীর পর শতাব্দী।
লেখক : সংবাদকর্মী ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।