মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক জিঘাংসার প্রতিফলন : বাবুল রানা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম পরোপকারী ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি অন্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছেন। তিনি সততা, কর্তব্যনিষ্ঠতা, একনিষ্ঠতা এবং সাহসিকতার সাথে রাজনীতি করে একটি মুসলিম লীগ এলাকায় আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরি করেছিলেন। রাজনীতিতে সততা ও একনিষ্ঠতা বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবই এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের মধ্যে ছিলো বলেই এই দূর্গ তৈরি করা সম্ভব হয়েছিলো। যে কারনে খুলনার সর্বসাধারণ মানুষ তাকে সততার প্রতীক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরো বলেন, তিনি ছিলেন একজন অজাতশত্রু মানুষ। তাকে কোন মানুষ হত্যা করতে পারে না। এটা শুধুই রাজনৈতিক জিঘাংসার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, তিনি নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে কখনও রাজনীতি করেননি। মঞ্জুরুল ইমাম সব সময় সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি ঠিকই জাতির পিতার সুযোগ্য কর্মী হিসেবে সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু একজন মঞ্জুরুল ইমামকেই হত্যা করেনি; তারা আওয়ামী লীগের দূর্গে হানা দিয়েছে। সুতরাং এখন শপথ নিতে হবে ষড়যন্ত্রকারীদের মূলোৎপাটন করে সকল হত্যার বিচার নিশ্চিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর নগরীর ২০নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে নগর আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও আ’লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য শহীদ এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আ’লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, ২০নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি চ ম মুজিবুর রহমান, কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা।
এ সময়ে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, এস এম আকিল উদ্দিন, শফিকুর রহমান পলাশ, আরজুল ইসলাম আরজু, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুল, শরীফ এনামুল কবীর, মোক্তার হোসেন, এজাজ পারভেজ বাপ্পি, আঞ্জুমানারা বেগম, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, নুরজাহান রুমী, আলী আকবর, মোঃ রুহুল আমীন খান, এ্যাড. শামীম আহম্মেদ পলাশ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার, শহিদুল্লাহ চৌধুরী শিপন, মেহজাবিন খান, তোতা মিয়া ব্যাপারী, সেলিম খান মঈন, খাজা মঈনউদ্দিন, সোহেল চৌধুরী, শেখ আবিদউল্লাহ, শেখ জাহিদুল হক, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, হাজ্বী মোতালেব মিয়া, সরদার আব্দুল হালিম, মোঃ জাকির হোসেন, কবির হোসেন, ভানু বেগম, তামান্না বেগম, সাবেহা ইসলাম আঙ্গুর,আব্দুল হাই মাতুব্বর, আবুল হোসেন মাষ্টার, সালাম বেপারী, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, হামীম ইসলাম আবির প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে মঞ্জুরুল ইমামসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়