May 10, 2024
জাতীয়

ভোটের পরিবেশ গত সংসদ নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে : ফখরুল

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথাই তার মনে পড়ে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদ্বয় ক্রমাগত নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চলেছে, রঙিন পোস্টার লাগিয়েছে, ফুটপাতের ওপর নির্বাচনের অফিস নির্মাণ হয়েছে এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যে উসকানিমূলক বক্তব্য এবং তাদের মন্ত্রী-নেতৃবর্গের যে বক্তব্য, সেই বক্তব্যের পরে নির্বাচনের পরিবেশ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদে নির্বাচনের দিকেই চলে গেছে। এক বছর আগের ওই নির্বাচনে বিপুল বিজয়ে টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ, আর বিএনপির হয় ভরাডুবি, তারা পায় মাত্র পাঁচটি আসন।

আগের রাতেই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে ওই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি। এবার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে, যাকে ‘কারচুপির যন্ত্র’ আখ্যায়িত করে শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি।

শনিবার ঢাকার দুই সিটির ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করতে আওয়ামী লীগ ঢাকায় ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী জড়ো করছে’ বলেও অভিযোগ করছেন বিএনপির নেতারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বিএনপির বিরুদ্ধে একই ধরনের পাল্টা অভিযোগ এনে বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে তার দলের কর্মীরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে।

শনিবার কেন্দ্রে গিয়ে ঢাকাবাসীকে ভোট দেওয়ার আহŸান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ঢাকাবাসীর কাছে আমাদের উদাত্ত আহŸান, আপনারা সংবিধানসম্মত অধিকার রক্ষার জন্য, যা আপনারা ১৯৭১ সালে একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছেন, তাকে রক্ষার জন্য ঘর ঘেকে বেরিয়ে এসে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করুন, আপনারাদের অধিকার নিশ্চিত করুন।

আসুন আমরা সকল অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস ও ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং ১ ফেব্রæয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমরা আমাদের মতামত প্রদান করি। নিরাপদ ও বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে তুলি, অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করি।

ঢাকাবাসী ‘ভোট দিতে পারলে’ বিএনপির প্রার্থীরা যে জয়ী হবেন, সে বিষয়ে ‘নিশ্চিত’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি ভোট নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন।

ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন, ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশি ও গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশ ছাড়া এ নির্বাচন কমিশনের কাজ করার কোনো শক্তি নেই। সেভাবেই এ নির্বাচনটাকে তারা দলীয়করণের নির্বাচনে পরিণত করতে চলেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফরত আলী সপু ও মনির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *