April 19, 2024
জাতীয়

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কুতুবের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর গুলশানে সরকারি জমি আত্মসাতের এক মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল শনিবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, কুতুবসহ নাজমুল ইসলাম সাঈদ নামে আরেকজন আসামির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় কমিশন। শিগগিরই এ অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
শ্বশুর ও স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাস করার অভিযোগে গত বছরের ৮ এপ্রিল গুলশান থানায় কুতুবের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় কুতুবের সাথে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়।
ওই দিন সকালে মামলা দায়েরের পর বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে দুদকের কর্মকর্তারা। এরপর ১২ এপ্রিল কুতুবকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম নিজেই এর তদন্ত করে স¤প্রতি কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন।
সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কুতুব গুলশানে রাজউকের অধিগ্রহণ করা সাড়ে ১৬ শতাংশ (১০ কাঠা) জমি শ্বশুর ও অন্যদের নামে ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে বলে দুদকের কর্মকর্তা প্রণব জানিয়েছেন।
১৯৬৪ সালে গুলশান-বারিধারা আবাসিক মডেল টাউন স¤প্রসারণ প্রকল্পের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩১ একর ১৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে এই জমি নিচু জলাশয় হওয়ায় রাজউকের জন্য অলাভজনক হবে বলে ১৯৬৯ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এরপর রাজউক পুনরায় ওই ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে এই নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলে। এরপর ২০০৪ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে ওই ভূমির ওপর রাজউকের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে, কুতুব ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থেকে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাজউকের সম্পত্তি অবমুক্ত করে নাজমুল ইসলাম সাইদকে জমির ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে এবং শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধাসহ আরও দুজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিজেই ১০ কাঠা জমি আত্মসাৎ করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কুতুবের শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধার নামে ওই জমি ক্রয় করা হলেও তিনি কখনই এই জমি ভোগদখল বা বসবাস করেননি। শুরু থেকেই কুতুব এই জমি ভোগদখল এবং সেখানে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *