ভিডিও: শিক্ষার্থীদের পা ধরে ভোট চাইছেন ছাত্রনেতারা
প্রায় সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েই এখন ছাত্র সংসদ রয়েছে। সেই সংসদের বিভিন্ন পদে বসতে জিততে হয় ভোটে। আর সেই ভোটে প্রার্থী হন আগ্রহী ছাত্রনেতারা। মূলত শিক্ষার্থীদের ভোট পেয়ে জেতার চেষ্টা করেন প্রার্থীরা।
তবে ছাত্র-ছাত্রীদের সেই ভোট পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রনেতারা যা করেছেন সেটির ভিডিও কার্যত এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মূলত ভোট পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের পা ধরতেও ছাড়ছেন না ছাত্রনেতারা। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে হাস্যরস। ভোটের জন্য পা ধরার সেই ভিডিও দেখে নানা মন্তব্যও অবশ্য করেছেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে ছুটির পর বেরিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রীরা। ঠিক এসময় আচমকায় দুই ছাত্রীর পা জড়িয়ে ধরেন ছাত্র সংসদের ভোটে দাঁড়ানো দুই প্রার্থী। মূলত পা ধরে ভোটভিক্ষা করছেন তারা।
এসময় ছাত্রীরা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও কিছুতেই তাতে রাজি হচ্ছেন না নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ওই ছাত্রনেতারা। ছাত্রীদের পা ধরে রেখে সেখানে নিজেদের মাথাও স্পর্শ করছেন তারা। অন্য একজন আবার রাস্তার মধ্যেই শুয়ে পড়েছেন। রাস্তায় শুয়ে থেকে হাত জোড় করে সেখান দিয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভোট চাইছেন তিনি।
টুইটারে আনসিন ইন্ডিয়ার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক এক তরুণীর পা ধরে আছেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী হেসে হিন্দিতে বলেন, ‘হ্যাঁ (ভোট দেবো), তবে আগে পা ছাড়ুন’। ভিডিওর অন্যান্য দৃশ্যে, তৃতীয় একজনকে রাস্তায় শুয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করতে দেখা যায়।
এছাড়া ছাত্রদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একজন পুরুষ ও নারীকে হাঁটু গেড়ে ভোটের জন্য অনুরোধ করতে দেখা যায়।
আনসিন ইন্ডিয়ার টুইট করা ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে হিন্দিতে যা লেখা রয়েছে সেটিকে মোটামুটিভাবে অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায়, সেটি হচ্ছে, ‘রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা রাস্তায় শুয়ে এবং তাদের পা ধরে ভোট চেয়েছেন।’
সোমবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভরতপুর জেলায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। গত শুক্রবার এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর থেকে এক লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে সেটি।
অবশ্য ভোট চাওয়ার এই ব্যক্তিক্রমী ভঙ্গি দেখে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা। কেউ বলেছেন, ‘তারা মাটির কাছাকাছি থাকা নেতা। তাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন।’
কেউ আবার বলেছেন, ‘ভোটের জন্য এখন নেতারা ছাত্রদের পায়ে পড়ছে। ভোটের পরে ছাত্র-ছাত্রীদের নেতাদের পায়ে পড়তে হবে।’
অন্য একজন বলেছেন, ‘নেতারা পায়ে পড়ে ভোট চাইছেন দেখে ভালো লাগছে। হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তো ভোট চাইছেন না!’