May 4, 2024
জাতীয়

ভাসানচরের পথে আরো ৯শ শতাধিক রোহিঙ্গা

ভাসানচরের উদ্দেশে দিনের দ্বিতীয় বহরে আরও ১৮টি বাস উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ছেড়ে গেছে। এসব বাসে রয়েছেন নয় শতাধিক রোহিঙ্গা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে এসব বাস যাত্রা করে।

এর আগে একই দিন দুপুরে প্রথম বহরে আট শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে  উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ১৬টি বাস। দুই দফায় এক হাজার ৭শ জনের বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে রওয়ানা হলো।

সন্ধ্যায় এবং শুক্রবার আরও বেশ কিছু বাস যাওয়ার কথা রয়েছে।

দু’দিনে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের কথা জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন বাংলানিউজকে জানান, স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী এরকম প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উখিয়া থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটি ঘাট, সেখান থেকে পরে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আগ্রহী তিন হাজারের তালিকা করা হলেও শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৮০৪ জনসহ মোট ৩ হাজার ৪৪৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও আরও আগে থেকে সেই দ্বীপে ছিল আরও ৩০৫ জন রোহিঙ্গা। যাদের সাগর থেকে উদ্ধার করে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে থেকে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *