May 7, 2024
জাতীয়

ভারত ও পকিস্তানের চেয়ে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে এগিয়ে বাংলাদেশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বাংলাদেশ বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০১৯ এর সূচকে বাংলাদেশ ২৫.৮ স্কোর পেয়ে ১১৭টি দেশের মধ্যে ৮৮তম স্থানে রয়েছে। পাকিস্তান ২৮.৫ স্কোর পেয়ে ৯৪তম এবং ভারত ৩০.৩ স্কোর পেয়ে ১০২ তম স্থানে রয়েছে। ওয়েভসাইটে পাওয়া জিএইচআই রিপোর্ট ২০১৯ এ উলে­খিত তথ্যে এ খবর জানা যায়।

জিএইচআই বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ওপর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সূচকের ১১৭তম অবস্থানে রয়েছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। দেশটিতে খাদ্য সমস্যা প্রকট। সূচক নির্ধারণের জন্য চারটি বিষয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। বিষয়গুলো হলো: অপুষ্টি, চাইল্ড স্টান্টিং, চাইল্ড ওয়েস্টিং এবং চাইল্ড মর্টালিটি।

সারাবিশ্বে ক্ষুধা কমিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছর কনসার্ণ ওয়াল্ডওয়াইড এবং ওয়েলথহাঙ্গারহিল যৌথভাবে জিএইচআই রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের জিএইচআই ইন্ডিকেটর ভ্যালু দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জন্য ইন্ডিকেটর ভ্যালুতে প্রভাব ফেলে। ভারতের শিশু ওয়েস্টের হার ২০.৮ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে বেশি। শিশু স্টান্টিং হার ৩৭.৯ শতাংশ। ভারতের জনস্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে এটি খুবই বেশি। শিশু পুষ্টিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বাইরে দুটি দেশ বেশ এগিয়ে আছে এবং তাদের অভিজ্ঞতা উৎসাহব্যঞ্জক। ২০১৫ সালের জরিপে বাংলাদেশে স্টান্টিং কমার পেছনের কারণ সনাক্ত করার আহŸান জানানো হয়। এ সময়ে জাতীয় পযার্য়ে ১৯৯৭ সালে ৫৮.৫ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে ৪০.২ শতাংশে নেমে আসে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে পরিবার ভিত্তিক সম্পদ বেড়েছে। মৃত্যু হার কমার পেছনে স্বাস্থ্য, সেনিটেশন এবং জনসংখ্যা ভূমিকা রেখেছে। নেপালে শিশু স্টান্টিং এ উলে­খযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ সালের ৫৬.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০১১ সালে ৪০.১ শতাংশে নেমে আসছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০১৯ এ দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার কমেছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *