ভারতে টানা চারদিন সংক্রমণ তিন লাখের নিচে, মৃত্যু ৩৮৭৪
ভারতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে টানা চারদিন দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখের নিচে রয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন তিন হাজার ৮৭৪ জন, যা গতকালের রেকর্ড সাড়ে চার হাজার মৃত্যুর থেকে কম। এ নিয়ে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই লাখ ৮৭ হাজার ১২২ জনে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা একদিনে দেশটিতে সর্বোচ্চ। এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭০ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৪০৫ জনে। এর আগে গতকাল আক্রান্ত হয়েছিল দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৪ জন।
দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণের দিক থেকে মহারাষ্ট্রের পর কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং উত্তর প্রদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।
মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪ হাজার ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৫৯৪ জন। রাজ্যের জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ বুধবার জানান, রাজ্যে বিরল এক ছত্রাকের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেরালায় একই সময়ে ৩২ হাজার ৭৬২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১১২ জন। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ দেয়া ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে এবং মুখ্য সচিব আজ বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবেন।
দুই সপ্তাহের চলমান লকডাউনের মধ্যে তামিল নাড়ুতে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৪ হাজার অতিক্রম করেছে যেখানে প্রতিবেশী চেন্নাইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জন।
দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিন হাজার ৮৪৬ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত ৫ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। একই সময়ে মারা গেছেন ২৩৫ জন করোনা রোগী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, ভারত চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২৬৭ কোটি ডোজ করোনার টিকা সংগ্রহ করবে এবং অন্ততপক্ষে প্রাপ্তবয়স্কদের সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে।
করোনার মধ্যে রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামক ছত্রাককে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে।