May 4, 2024
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত : তিন দশকে ১৪ হাজারের বেশি প্রাণহানি

গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিনের সংঘাতে ২২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ৩৮ জন নারী এবং ৬৪ জন শিশু। তবে কি শুধুই ১১ দিন ধরে চলছে এই মৃত্যুর মিছিল? না, এর শুরু আসলে ১৯৮৭ সালে। সে সময় থেকে আজকের দিন পর্যন্ত দু-দেশের মধ্যকার সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের ৮৭ শতাংশই ফিলিস্তিনি।

রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষ হয় নানা সময়ে। ১৯৮৭ সালে যার শুরু ফিলিস্তিনিদের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন বা ইনতিফাদার মধ্যদিয়ে। তখন দু-পক্ষের যুদ্ধে নিহত হয় বহু মানুষ। যা ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল, যদিও এর সমাপ্তি ঘটেছিল ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে।

এরপর বড় সংঘাত হয় ২০০০ সালে। যার কারণ ছিল ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির ব্যর্থতা। এ সময় ফিলিস্তিনিরা ছোট আকারে প্রতিরোধ করতে চাইলে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা জোরদার করে। দ্বিতীয় ইনতিফাদা চলে ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত।

গাজা ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বি’সেলেমের মতে, ২০১৪ সালের আগস্টে গাজার দ্বিতীয় ইনতিফাদার পর থেকে দু-দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্বে প্রতিবছর গড়ে ৮শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

তারপর থেকে প্রায় প্রতি বছর ১৭৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে আর ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা প্রতি বছর ৮৫ থেকে কমে হয়েছে প্রায় ১৪ জন। আর চলতি বছর রক্তপাত আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছেই।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের চাপ ছিল শুরু থেকেই। গত বুধবার এই তালিকায় যোগ হয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তবে চতুর্মুখী এই চাপকে পাত্তা না নিয়েই গাজায় ‘চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

গাজায় সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর পর গত ১১ দিনের মধ্যে কমপক্ষে তিনবার টেলিফোনে কথা হয়েছে বাইডেন ও নেতানিয়াহুর। বুধবার বাইডেন বলেছেন, তিনি দুই-একদিনের মধ্যেই উত্তেজনা ব্যাপকভাবে কমে গিয়ে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি হওয়ার আশা করছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *