May 17, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

ব্রিটেনে লকডাউন শিথিলে জনসনের ‘শর্তসাপেক্ষ পরিকল্পনা’

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে জারি করা লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার ‘রোডম্যাপ’ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শিগগিরই এ পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার (১১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ জনগণের লকডাউন তুলে নেওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি। একইসঙ্গে ৫০ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা প্রকাশ করবে ব্রিটিশ সংসদ।

তবে বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার সমালোচনা করে বলেছেন জনসনের পরিকল্পনার স্পষ্ট নয়।

রোববার (১০ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ফের চালু করার জন্য ‘শর্তসাপেক্ষ পরিকল্পনা’ ঘোষণা করেন জনসন। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার (১৩ মে) থেকে যুক্তরাজ্যের অধিবাসীরা আরও বেশি সময় বাড়ির বাইরে অবস্থান করার অনুমতি পাবেন।

উৎপাদন ও নির্মাণসহ যেসব খাতের কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন না, সোমবার থেকে তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে উৎসাহ দেওয়া হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গণপরিবহন এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র ‘কোভিড-নিরাপদ’ রাখতে নিয়োগকর্তাদের জন্য নির্দেশনা তৈরির কাজ করছে সরকার।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনটি স্তরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। প্রথম স্তরে বুধবার থেকে জনগণকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাইরে ব্যায়াম, রোদ পোহানো বা পার্কের বেড়ানো ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। দু’টি আলাদা পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কিন্তু একে অপরের কাছ থেকে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

লকডাউন তুলে নেওয়ার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর শুরু হবে ১ জুন বা তারপর থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল খোলার মাধ্যমে। অন্তত ১ জুনের আগে প্রাইমারি স্কুল খোলা হবে না বলে জানান বরিস জনসন। প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণের মধ্য দিয়ে স্কুল চালু করা যেতে পারে। আগামী বছর মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার ‘আকাঙ্ক্ষা’ প্রকাশ করেছে সরকার। গ্রীষ্মের ছুটির আগে তাদের স্কুলে ফেরানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় স্তরে কিছু বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে ওয়েলশ সরকার জানিয়েছে, ১ জুনের আগে স্কুল খোলার সম্ভাবনা নেই।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন মন্তব্য করেছেন, ১ জুনের আগে স্কুল খোলার আশা তিনি করেন না।

ভাইরাসের ঝুঁকি বোঝাতে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত ‘বিপদসঙ্কেত’ ব্যবহার করা হবে। পাঁচ হচ্ছে সর্বোচ্চ বিপদসঙ্কেত। বর্তমানে যুক্তরাজ্য চার নম্বরে রয়েছে।

ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করতে ‘দ্বিধা’ করবেন না বলে জানিয়েছেন জনসন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *