ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি জানানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়ের তথ্য হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দেন।
ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে এমন নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে মিটিংয়ে ইনডাইরেক্ট আলোচনা হয়েছে এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স ডিভিশনকে। চারদিকে এতো কথাবার্তা উঠছে, আসল সিনারিওটা কী সেটা শিগগিরই দেখে অবহিত করবেন আমাদের।
ইসলামী ব্যাংক প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘ওভারঅল, আরও কয়েকটা ব্যাংকের কথা তো। ওটা শোনার পর আমি ইন্টারনেটে গিয়ে দেখলাম কয়েকটা ব্যাংকের ব্যাপারে ইউটিউবে বিভিন্ন রকম, বাইরে থেকে বক্তৃতা দিচ্ছেন। তবুও এটাকে অবহেলা করা হয়নি। বলা হয়েছে, এগুলোকে দেখে সিনারিওটা আমাদের জানাও।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের তথ্য হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার, এক্ষেত্রে কোনো দীর্ঘসূত্রতা কাম্য নয় বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাগিদ
সভায় কোনো অবস্থাতেই যাতে খাদ্যের মজুত কমে না যায় সে বিষয়ে সচিবদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। খাদ্যের মজুত যাতে কমে না যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
সচিব বলেন, ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ ও টিসিবিসহ খাদ্যবন্ধব কর্মসূচি যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, সরকারি কর্মচারীদের আর আলাদা করে সম্পদের হিসাব সরকারকে দিতে হবে না। প্রতিবছর রিটার্ন দাখিলের সময় যে এক পৃষ্ঠায় সম্পদের বিবরণী দিতে হয়, সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করলেই হবে।
তিনি বলেন, ‘এনবিআর, আমি এবং জনপ্রশাসন সচিব বসেছিলাম। বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিয়েছি যে, সম্পদের হিসাব আর আলাদা করে দেওয়ার দরকার নেই। প্রতি বছর আমরা যে রিটার্ন দেই, সেখানে একটি পৃষ্ঠার মধ্যে সম্পত্তির হিসাব দিতে হয়, ওই পৃষ্ঠাটা জনপ্রশাসনকে দিয়ে দেব।’
এ বিষয়ে এনবিআর অনাপত্তি দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এনবিআর বলেছে আমাদের কোন আপত্তি নেই। এখন সার্কুলার হয়ে যাবে। আমরা ওই পৃষ্ঠাই অনলাইনে জনপ্রশাসনকে দিয়ে দেব।