April 28, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের প্রবেশে অনুমতি দেয়নি চীন

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি অনুসন্ধানে চীনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলের দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দলটিকে এখনও দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি চীন। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়েসুস হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এক বিবৃতিতে তেদ্রস আধানম বলেন, চীন এখনও তাদের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলকে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় তিনি খুবই আশাহত হয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রকোপ ধরা পড়ে। প্রায় এক বছর পর দেশটিতে করোনার উৎস খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞ দলের যাওয়ার কথা থাকলেও তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

১০ জনের বিশেষজ্ঞ দলটির চলতি মাসের প্রথমেই চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। জেনেভা থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তেদ্রস আধানম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, বিশেষজ্ঞ দলটির চীন সফরে যাওয়ার বিষয়ে দেশটির কর্মকর্তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।’

তিনি বলেন, এ বিষয়ে চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং দেশটিতে বিশেষজ্ঞদের সফরকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল পিটার বিন এমবারেকের। তিনি প্রাণিরোগের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ। এর আগে গত জুলাই মাসে তিনি প্রাথমিক একটি মিশনের অংশ হিসেবে চীনে সফর করেছিলেন।

ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য নিজ নিজ দেশ থেকে চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু চীন অনুমতি না দেয়ায় এদের মধ্যে একজন দেশে ফিরে গেছেন এবং অন্যজন তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থান করছেন।

প্রথমদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর ঘোষণা দেয় তখন চীন তাদেরকে স্বাগত জানায়। কিন্তু এখন তারাই আবার ওই বিশেষজ্ঞ দলটিকে দেশে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে করোনার উৎস খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা আবারও থেমে গেল।

চীনে প্রথম প্রাদুর্ভাব হওয়া এই ভাইরাস গত এক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে করোনার হানায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই কোনো দেশ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *