May 19, 2024
আন্তর্জাতিক

বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ নারী সহিংসতার শিকার

বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ নারী সারাটা জীবন ধরেই যৌন হেনস্তা বা শারীরিক সহিংসতার শিকার হন। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানকে আহ্বান জানানো হয়েছে। নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা, ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বিভিন্ন সেবার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য মোকাবিলা করা যার কারণে প্রায়ই নারী ও মেয়ে শিশুরা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে।

১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৩১ শতাংশ নারী অর্থাৎ বিশ্বের ৮৫ কোটির বেশি নারী শারীরিক বা যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে, এ পর্যন্ত নারীদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে করা এটাই সবচেয়ে বড় গবেষণা। ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ জরিপ এবং তথ্যও এতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতি সম্মান এবং যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি স্কুলজীবনেই ছেলে শিশুদের শেখানো উচিত।

বিভিন্ন দেশ এবং সংস্কৃতিতে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় লাখ লাখ নারী এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বিশ্বব্যাপীই অনেক বেড়ে গেছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্র দেশগুলোতে একজন স্বামী বা নারীর অন্তরঙ্গ সঙ্গীর দ্বারাই তারা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। সেখানে বলা হয়েছে, এক চতুর্থাংশ নারী তাদের সঙ্গীর হাতে হেনস্তা বা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। অনেক সময় একজন মেয়ে তার ১৫ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে হেনস্তার শিকার হয়ে থাকেন এবং এটা তাকে সারাজীবন বয়ে নিয়ে যেতে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কিরিবাতি, ফিজি, পাপুয়া নিউ গিনি, বাংলাদেশ, কঙ্গো এবং আফগানিস্তানে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হতে হয়। এই সংখ্যা সবচেয়ে কম ইউরোপে। সেখানে সহিংসতার শিকার ২৩ শতাংশ নারী।

করোনা মহামারিতে বিভিন্ন দেশেই নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নারীরা বাড়ির বাইরে যেতে না পারায় তারা তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা কাছের কারও কাছ থেকে সহায়তা নিতে পারেননি। তাদেরকে নিজেদের নির্যাতনকারীর সঙ্গে একই স্থানে অনেক বেশি সময় ধরে থাকতে হয়েছে। ফলে নির্যাতনের মাত্রাও বেড়ে গেছে।

প্লান ইন্টারন্যাশনালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কলম্বিয়ায় লকডাউন শুরুর পর সেখানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা অন্যান্য বছরের তুলনায় ১৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা সত্যিই খুব আশঙ্কাজনক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *