May 4, 2024
আন্তর্জাতিক

বিপুল রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রেখেছে মিয়ানমার!

রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে দাঁড়াতে হবে মিয়ানমারকে। দিন দিন এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে দেশটির ওপর। এর মধ্যেই উঠে এসেছে আরও একটি বড় অভিযোগ। আন্তর্জাতিক চুক্তি অমান্য করে মিয়ানমার এখনো বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রেখেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) বার্ষিক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি থমাস ডিনানো।

আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তিতে (সিডব্লিউসি) এধরনের অস্ত্র তৈরি, মজুদ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এ চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় মিয়ানমার।

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ওপিসিডব্লিউর বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা থমাস ডিনানো বলেন, মিয়ানমারের রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনায় এখনো অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে, মিয়ানমারের কাছে এখনো আশির দশকের সালফার মাস্টার্ড (রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গ্যাস) প্রকল্প ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি কারখানা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাপ্ততথ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করছে যে, অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র প্রকল্পের কথা স্বীকার ও রাসায়নিক অস্ত্র কারখানা ধ্বংস না করে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চুক্তি (ডিডিব্লিউসি) মানছে না।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এর আগেও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির পুলিশ উত্তরাঞ্চলীয় একটি তামা খনিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর ফসফরাস ছুড়ে গুরুতর দগ্ধ করেছে।

২০১৪ সালে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বিষয়ে প্রতিবেদন করায় মিয়ানমার পাঁচ সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এছাড়া, গত বছর দেশটির আধা-সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু কাচিন বিদ্রোহীদের ওপরও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় ওয়াশিংটন। এছাড়া মজুদ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সাহায্য করতেও প্রস্তুত তারা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *