বিক্ষিপ্ত ভারী বর্ষণের আভাস
মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়াও বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
তাই নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর প্রদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাংশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় রোববার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় (০৮-১২) কিলোমিটার।
সোমবার (৩১ আগষ্ট) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আবার কমবে।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।