বিএসএমএমইউতে আন্দোলনে লাঠিপেটা, আহত ১৫
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চলমান আন্দোলনে রবিবার ১৫ জন আন্দোলনকারী চিকিৎসক আহত হয়েছেন। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের লাঠিপেটায় তারা আহত হন। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে বা উপাচার্যের কার্যালয়ের নিচতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন আরও প্রায় ৫০ জন আন্দোলনকারী।
আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী থাকায় সবাই উপাচার্যের কার্যালয়ে মিলিত হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনকারীরা উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় বি-ব্লকের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনের গেট আটকে দেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। এরপর সেখানে উপস্থিত হয় শাহবাগ থানা পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। সে সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উপর চড়াও হয়ে লাঠিপেটা শুরু করেন। এতে প্রায় ১৫ জন আন্দোলনকারী চিকিৎসক আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই বি-ব্লকের নিচতলায় আমরণ অনশনে অবস্থান নিয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন নিয়োগপ্রত্যাশী। তাদের মতে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চলবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আন্দোলনকারীদের আহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, নিয়োগপ্রত্যাশীরা এসেছিলেন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু এখানে এসে তারা হট্টগোল শুরু করলে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন। তাদের উপর কোনো আঘাত করা হয়নি।
বি-ব্লকের নিচতলায় যারা অনশনে বসেছেন তাদের সঙ্গে উপাচার্য কথা বলেছেন। তাদের জানানো হয়েছে নিয়োগের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। কেননা সম্পূর্ণ সঠিকভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এছাড়া তাদের আনীত অভিযোগগুলোর সত্যতা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত বয়সের দু’জন পরীক্ষার্থী ছিলেন, তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ঈদের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেট্রোলবোমা উদ্ধারের ঘটনায় এদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, পেট্রোলবোমা উদ্ধার হওয়ার পর থেকে আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ চলছে। এছাড়া কারা এ কাজটি করেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তার আগে কিছু বলা যাবে না।