বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই : ওবায়দুল কাদের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। তাই তারা যথা সময়ে দলের সম্মেলন করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র আছে। বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। তারা আমাদের এক বছর আগে সম্মেলন করেছে আজ পর্যন্ত তাদের সম্মেলন করতে পারেনি। তারা মিটিং আহŸান করলেও তা হয় একটা ফ্লপ মিটিং।’
ওবায়দুল কাদের গতকাল রবিবার রাজধানীর রমনা পার্ক রেস্তোরা প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উত্তর প্রীতিভোজ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিটিং আহŸান করেও সেই মিটিং হয় একটা ফ্লপ মিটিং। সেখান থেকে তারা কোন কর্মসূচি নিতে পারে না। কর্মীরা হতাশ হয়। তাদের কোনো ঘরোয়া গণতন্ত্র নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির বেশিরভাগ জায়গায় অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে এই কথা শোভা পায় না।
‘দেশ পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা আমরা জানতে চাই। বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তার সন্তান তারাই তো হর্তা কর্তা বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম তো তাদেরই ইয়েস ম্যান হিসেবে কাজ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আমাদের সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে আসেননি। শেখ হাসিনা তার যোগ্যতার বদৌলতে প্রমান করেছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনিই হচ্ছেন অসীম সাহসী কান্ডারি। যার কারণে বাংলাদেশ, উন্নয়ন অর্জনে বিশ্ব সভায় বিশেষ মর্যাদায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যে স্বাপ্নিক রুপকার হচ্ছে শেখ হাসিনা।
‘বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন এখনো হলোই না। কেমন নির্বাচন এটা তারা এখনই আগাম মন্তব্য করলেন। এটা বিএনপির পুরোনো স্বভাব। তারা এভাবেই কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে গেছে। তাদের মুখে এখনই পরাজয়ের সুর। তারা আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হবে। বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে এটা ভালো করেই জানে। এজন্য তারা কথামালার চাতুরী দিয়ে নির্বাচন হওয়ার আগেই নির্বাচন সম্পর্কে আগাম বিষোআগর করে, সরকারি দলকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন টা আগে হোক। জাতি দেখবে কেমন নির্বাচন হয়। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আামাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার জন্য। আমরা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করলে আমরা কেন জনগণের দোরগোড়ায় ভোট ভিক্ষা করতে যাবো। আমরা তো ভোটারদের মন জয় করে বিজয়ী হতে চাই।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদু নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।