May 4, 2024
জাতীয়

বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র পেয়েছে ৫ লাখ রোহিঙ্গা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তৈরি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে, যারা বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের যৌথভাবে নিবন্ধিত।

বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এ পরিচয়পত্রটি নকল বা জাল করা সম্ভব নয় এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী ১২ বছরে অধিক বয়সী তথ্য যাচাই করা সকল মিয়ানমার নাগরিককে এ পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।

ইউএনএইচসিআর বলছে, এটিই কোনো কোনো রোহিঙ্গার ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম পরিচয়পত্র প্রাপ্তি। পরিচয়পত্রটি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউএনএইচসিআর-এর মিডিয়া কমিউনিকেশন অফিসার জোসেফ ত্রিপুরার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ৯ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের আগস্টে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর কর্তৃক যৌথভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম করার উদ্যোগ নেয়। এতে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এ পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন থেকে।

বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থাপিত সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত নিবন্ধন করা হচ্ছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সকল রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনতে ৫৫০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ইউএনএইসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস-এর বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কার্ডটি থাকায় নিবন্ধিত শরণার্থীরা আরও নিরাপদ বোধ করবে এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও এই কার্ডে স্পষ্ট করে উলে­খ রয়েছে যে তাদের মূল দেশ মিয়ানমার। তারা যখন নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইবে এই কার্ডটি তাদের নিজ দেশে ফেরার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

শরণার্থী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তাদের মৌলিক তথ্যসহ পারিবারিক সংযোগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথিভুক্ত করা হয় এতে। ইউএনএইচসিআর এর বায়োমেট্রিক পরিচয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (বিআইএমএস) বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন আঙুলের ছাপ, চোখের মনির স্ক্যান করা তথ্য সংরক্ষণ করে, যা প্রত্যেক শরণার্থীর অনন্য পরিচয় নিশ্চিত করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিবন্ধনের সময় সংগৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার ইউএনএইচসিআর গত সপ্তাহে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা স্থাপনায় প্রথমবারের মতো গ্লোবাল ডিসট্রিবিউশন টুল (জিডিটি) উদ্বোধন করেছে। আঙুলের ছাপ বা চোখের মনির স্ক্যানকৃত তথ্য যাচাই করার মাধ্যমে এই পদ্ধতি ‘সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থাকে’ তরান্বিত করে। এটির নকল বা জাল প্রতিরোধী ব্যবস্থার কারণে সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি ঘটে না। এতে সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে কেউ বাদ পড়া সম্ভাবনা থাকে না।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *