বাতিল নোটের টুকরো: ৩ পৌর কর্মকর্তাকে নোটিশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বগুড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল নোটের টুকরো ডাম্পিং স্টেশনের পরিবর্তে বিলের পানিতে ফেলার কারণে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে কারণ দেখাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমান জানান, বুধবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ, একই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রাখিউল আবেদীনকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কারণ দেখাতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখার অনুরোধে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে ২৪০ বস্তা ভরা বাতিল নোটের টুকরো ফেলতে বলা হয়।
কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ডাম্পিং স্টেশনের বদলে শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে নোটের টুকরোগুলো ফেলেন। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এ কারণে তাদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলার চান্দাই গ্রামে রাস্তার পাশে বিলের পানিতে বাতিল নোটের টুকরো ফেলা হয়।
এ ঘটনায় গুজব ছড়ায়, স¤প্রতি ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ভয়ে কেউ হয়ত অবৈধ টাকা নষ্ট করেছে। ফলে বিলের মধ্যে নোটের বস্তা থাকতে পারে- এই ধারণা থেকে কয়েকজন পানিতে নেমে ডুব দিয়ে টাকা খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু পানিতেও ওই টুকরো টাকাই মেলে।
অনেকে সেই টুকরো টাকা হাতে করে, লুঙ্গিতে ভরে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে চলা এই উত্তেজনার অবসান ঘটে দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুলিশ তথ্য পাওয়ার পর।
বগুড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জগন্নাথ ঘোষ বলেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা বাতিল টাকার নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী নষ্ট করে ফেলা হয়। আগে এসব নোট পুড়িয়ে ফেলা হত। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, তাতে পরিবেশ দূষণ ঘটে। তাই এখন ১০০ থেকে ১০০০ টাকার নোট মেশিনে কুচি কুচি করে কেটে ফেলা হয়। পরে আমরা তা পৌরসভার মাধ্যমে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।