May 5, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

‘বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবো’

আমরা বাঁচার জন্য ভোগ করি। ভোগের জন্য নানা পণ্য কিনতে মার্কেটে যাই।

আমাদের জীবন মার্কেট কেন্দ্রিক। যে দেশের মার্কেট যত বড়ো সে দেশ তত ধনী। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১১ অক্টোবর) নগরীর ইস্কাটনে প্রতিযোগিতা কমিশনে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকদের বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাঁচার জন্য ভোগ করতে চাই। এ ভোগের উৎস হচ্ছে বাজার। অর্থাৎ আমাদের জীবন হচ্ছে বাজার কেন্দ্রিক। সেটা ব্যক্তিজীবন, সামাজিকজীবন, রাষ্ট্রীয়জীবন বা আন্তর্জাতিক বিশ্ব, যেটাই বলি না কেন – সবকিছুই হচ্ছে বাজারকে কেন্দ্র করে। একটি ডাইমেনশন এসেছে নতুন, সেটা হচ্ছে বাজার অর্থনীতি। ’

মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজার অর্থনীতিতে নির্ধারিত হয় সেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন কেমন। যার বাজার বড় সেই বেশি ধনী। যদি বলা হয় আমরা গরিব, আমরা বলতে বাংলাদেশকে বোঝাচ্ছি না। আমরা গরিব কেন, টাকা নাই, টাকা নাই কেন –গরিব। এর মধ্যেই ঘুরছে সার্কেলটা। কিন্তু এর পরের লাইনে বলা হচ্ছে টাকা নেই কারণ চাকা নেই। চাকা নেই মানে কলকারখানা নেই, মানে পণ্য নেই। আপনার বাজারে পণ্য আছে, তা বিক্রি করে ধনী হবেন, টাকা পাবেন। আমরা সারাবিশ্বে তাকালে তাই দেখতে পাই। অর্থাৎ আমাদের জীবনটা বাজার কেন্দ্রীক।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিযোগিতা কমিশন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, অনেক শিক্ষিত মানুষও এ সম্পর্কে জানে না। এমনকি যারা দেশের নাড়ী-নক্ষত্রের খবর রাখেন, সাংবাদিক বন্ধুরা, তারাও জানেন না যে এই কমিশনের কাজটা কী। আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় দিলে আধা ঘণ্টা লাগে কোথায় কাজ করি। এ অবস্থায় আমরা চলছি। ’

চেয়ারপার্সন বলেন, দুটি কারণে সাংবাদিকদের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা দুটি সোর্স থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তি করি। একটি হচ্ছে, যদি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। দ্বিতীয়, আমরা স্বপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ নিতে পারি। এই স্বপ্রণোদিতভাবে নিতে গিয়ে আমরা মনে করলাম যে, কোন তথ্যটাকে আমরা অভিযোগ হিসেবে নেব? আমরা চিন্তা করে দেখলাম, এর মূল সোর্স সাংবাদিকরা। আপনারা যে রিপোর্ট করেন, মাঝেমধ্যে কিছু কিছু পণ্যের যেমন ‘পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি/ পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমে না/ কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজার দখল’ ইত্যাদি প্রতিবেদন করেন। এই রিপোর্টগুলো আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ নিয়ে যদি নিষ্পত্তি করতে পারি সুষ্ঠুভাবে তাহলে আমাদের কমিশন প্রতিষ্ঠার যে উদ্দেশ্য, সেটা অর্জিত হবে।

ভার্চ্যুয়ালি কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য সচিব ড. মোহাম্মদ জাফর উদ্দনী। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য জিএম সালেহ উদ্দিন, মো. আব্দুর রউফ, ড. এ এফ এম মনজুর কাদির।  ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ন কবীর, সহ-সভাপতি হামিদ-উদ-জামান, সাধারণ সম্পাদ আরিফুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অর্থসম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *