May 5, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বিদ্যমান শক্তিশালী বন্ধন তুলে ধরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের দিকনির্দেশনার জন্য পৃথক শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় হোটেল পূর্বাণীতে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার কোভিড-সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে নিজ নিজ সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারিত্ব বাড়াতে তারা অঙ্গীকার করেন।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ডাচ-অস্ট্রেলিয়ান উইলিয়াম এএস ওডারল্যান্ডের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে ডক্টর জিওফ্রে ডেভিস, হার্বার্ট ফেইথ এবং অ্যান্থনি ক্লিফটনের মতো অস্ট্রেলিয়ানদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য উন্নত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন।
তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে এবং অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেন, অস্ট্রেলিয়া কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের প্রত্যাশা করে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) কাজী রাসেল পারভেজ এবং ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও যোগ দেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *