May 18, 2024
জাতীয়

বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি কম হবে : কৃষিমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মাঠে তেমন ফসল না থাকায় এ মুহূর্তে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি কম হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে চাল রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমত প্রকাশ করেন।

রাজ্জাক বলেন এই মুহূর্তে বন্যায় তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এই মুহূর্তে মাঠে তেমন কোনো ফসল নেই। বন্যার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্যার দরকার আছে দুটি কারণে- আমরা যে সেচ ব্যবস্থায় গেছি, নিচ থেকে পানি তুলে খরচ করছি। এটা পূরণ করতে হবে। বন্যা না হলে, বৃষ্টি না হলে এটা কীভাবে হবে। পানির স্তর আস্তে আস্তে নিচে নেমে যাচ্ছে।

আরেকটা হল, বন্যার পানির সাথে অনেক পলিমাটি আসে, যেটার মধ্যে অনেক নিউট্রিয়ান্ট, অনেক সার আছে। এটাকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। বন্যায় ক্ষতি না চাইলেও স্বাভাবিক বন্যা দেশের জন্য, চাষীদের জন্য কল্যাণ ও মঙ্গলের বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশে থেকে চাল আমদানিতে ফিলিপিন্স আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ ফিলিপিন থেকে একটি পার্টি এসেছে, তারা চালের আমদানিতে ফিলিপিন সরকারকে সহযোগিতা করেন। ফিলিপিন সরকারও বলছে, তারা জিটুজি, সরকারের কাছ থেকেও চাল কিনতে পারে। ফিলিপিনের মানুষ সেদ্ধ চাল খায়। আমাদের কিছু মিলারদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছে, তারা মনে করেছে দামও মোটামুটি রিজানবল, বলেন কৃষিমন্ত্রী।

অনেক মিলার-ব্যবসায়ীদের গুদামে যথেষ্ট চাল রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চালের দাম খুবই কম। এজন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের কৃষকরা-চাষীরা সত্যিকারে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। ধান চাষাবাদ করে তাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু চাল আমরা বিদেশে রপ্তানি করব।

কী পরিমাণ রপ্তানি করা যাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে চালের উদ্বৃত্ত আছে। ১০ লাখ টন চাল রপ্তানি করলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যে কোনো সময় বন্যা হতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। সে প্রেক্ষিতে আমরা গ্রাজুয়ালি যাব। ওরা এক লাখ টন নিতে চাচ্ছে। ফিলিপিন সরকারও আমাদের সরকারের কাছ থেকে চাল কিনে নিতে চাচ্ছে।

চাল রপ্তানিতে কৃষক পর্যায়ে প্রভাবের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যদি পাঁচ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে পারি অবশ্যই দামের উপরে প্রভাব পড়বে। আমরা বলছিলাম, তাই দামের উপর প্রভাব পড়েছে। আবার দাম কমার দিকে। চাল রপ্তানিতে সাধারণ মানুষ কোনো চাপের মধ্যে পড়বে না বলেও জানান রাজ্জাক।

ফিলিপিন্সের ব্যবসায়ীরা কোন ধরণের চাল কিনতে চান জানতে চাইলে রশিদ গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, মাঝারি ধরণের আটাশ ও ঊনত্রিশ চালের ডিমান্ডই তাদের বেশি। সাথে সাথে হয়তো মিনিকেটও কিছু করা যেতে পারে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *