April 27, 2024
আঞ্চলিক

বটিয়াঘাটায় ব্যবসায়ীরা ও ইজিবাইক চালকেরা চরম ভোগান্তিতে

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি

বটিয়াঘাটা উপজেলার ইজিবাইক সমুহ মহানগরীর প্রবেশদ্বার গল্লামারী স্ট্যান্ড পর্যন্ত ঢুকতে না দেওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন উপজেলার জনসাধারণ, ব্যবসায়ীরা ও ইজিবাইক চালকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা গত রবিবার প্রতিকার পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস পূর্বে সিটি কর্পোরেশন মহানগরীর অধিবাসী হতে হবে এই মর্মে কতিপয় ইজিবাইক চালক ও মালিকদের লাইসেন্স প্রদান করে। যেখানে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয় যে, লাইসেন্স বিহীন কোন গাড়ী মহানগরীর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। বাস্তবতার নিরিখে গল্লামারী থেকেই জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সীমানা ও উপজেলার আওতাধীন উপজেলার সকল অধিবাসী কর, খাজনা, জমি কেনা-বেচা, অফিস আদালতে এখনও ঐ নাম ঠিকানা পদ-পদবীতে ব্যবহার করে। সেই স্বাধীনতার আমল থেকে বংশানুক্রমে জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও পাশর্^বর্তী পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ জনসাধারণ মহানগরীতে প্রবেশ করতে পল্লী এলাকা থেকে স্কুটার ও অটোটেম্পু যোগে ময়লাপোতা নামক স্থানে নামতো। সময়ের বিবর্তনে মহানগরীর যানজট নিরসনে এবং আধুনিক পরিবহন এর যোগানে ধীরে ধীরে গল্লামারী পুলিশ বক্স ও পরবর্তীতে গল্লামারী বাজার পর্যন্ত স্ট্যান্ডে রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘ্য ১০ বছর ধরেই ওই স্থানেই তিন উপজেলার ইজিবাইক ও জনসাধারণ ওঠা-নামা সহ মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করে আসছিল। হঠাৎ করে কেএমপি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সিদ্ধান্তের কারনে তিন উপজেলার সকল ইজিবাইক ওই স্থানে ঢুকতে না পারায় হাজার হাজার মানুষের জনদূর্ভোগ বেড়েছে। তারা খুলনা থেকে কোন পন্য কিনে নিতে হলে গল্লামারী থেকে সাচিবুনিয়া বিশ^রোড মোড় পর্যন্ত চরম দূর্ভোগের মধ্য থেকে নিতে হয়। একই উপজেলায় দ্বৈত শাসন নীতির কারনে তিন উপজেলার কয়েক লক্ষাধীক মানুষের এ জনদূর্ভোগ খতিয়ে দেখতে সাধারণ মানুষ নগর পিতা, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *