May 1, 2024
করোনাজাতীয়লেটেস্ট

ফের বাড়ছে করোনার নতুন রোগী, মৃত্যু ১৩

দেশে আবারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় ৯১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জন।

একই সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই পুরুষ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৮৯ জনে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি এত বেশি সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়নি। আজ রোগী শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশেরও বেশি। সপ্তাহখানেক আগেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় দুই শতাংশ রোগী শনাক্ত হলেও গত শুক্রবার (৫ মার্চ) এ হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। সেদিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৬৩৫ জনের মধ্যে। শনিবার (৬ মার্চ) করোনা শনাক্ত হয় ৫৪০ জনের। রোববার (৭ মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ৬০৬ জন। গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) শনাক্ত হয় আরও ৮৪৫ জনের। আজ আরও ৯১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ল।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট ১৭ হাজার ৯৭৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮টি।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২২৯ জন। এ পর্যন্ত এই ভাইরাস থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫ হাজার ৩৩৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ৫৩ শতাংশ ও শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৯ মার্চ পর্যন্ত এই মহামারিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৯ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৪৩০ জন (৭৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ) এবং নারী ২ হাজার ৬৯ জন (২৪ দশমিক শূন্য ৩৭ শতাংশ)।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬ জন।

বিভাগওয়ারী হিসেবে মৃত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুরে একজন করে মোট তিনজন মারা গেছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *