ফিলিপাইনে টাইফুন ভ্যামকোর হানায় নিহত বেড়ে ৫৩
ভ্যামকো নামে একটি শক্তিশালী টাইফুন ফিলিপাইনের উপকূলে আঘাত হানার পর কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গেছেন। আরও ২০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে হতাহতের এই হিসাব জানানো হলেও দেশটির পুলিশের বরাতে বিবিসি অবশ্য ৪২ জনের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে।
বিবিসি লিখেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় দ্বীপ লুজানে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। বন্যার ফলে ভূমিধসের মতো দুরোগ ছাড়াও সড়কগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নেয়ায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকে উপায় না পেয়ে অসহায় অবস্থায় আটকে পড়েছেন
এদিকে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ অন্যত্র বেশ কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন বন্যা ও ঝড় কবলিত হাজার হাজার অসহায় মানুষ। চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্ক্রম। স্থানীয়ভাবে ইউলিসেস নামে পরিচিত এ ঝড়টি ছিল চলতি বছরে ফিলিপাইনে আঘান হানা ২১ নম্বর ঘূর্ণিঝড়।
এক সপ্তাহ আগেই গত সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও শক্তিশালী টাইফুন গনি আঘাত হেনেছিল দেশটিতে। বুধবারের শেষ থেকে বৃহস্পতিবারের প্রথম প্রহর পযর্ন্ত লুজানে আঘাত হানে ভ্যামকো। উপকূলে ঝড়টি আছড়ে পড়ার পর অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পুলিশ ও জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তারাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। তবে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার অনুরোধ করা হলেও অনেকে তা মানছেন না। টাইফুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ম্যানিলা থেকে উত্তরের মারিকিনা শহরে।
ঘূর্ণিঝড় ভ্যামকো ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়ে এখন দক্ষিণ চীন সাগরের হয়ে ভিয়েতনামের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার ভোর নাগাদ সেন্ট্রাল ভিয়েতনামের হা তিং থেকে কোয়াং নাই প্রদেশ পর্যন্ত উপকূল রেখায় ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ভ্যামকো আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।