May 20, 2024
জাতীয়

প্রাথমিকে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের নির্দেশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এবার যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর মধ্যে তাদের পরীক্ষা নিয়ে ৩১ তারিখ ফল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়াদের এই সমাপনী পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কারের ঘটনায় জারি করা রুলের জবাব না পেয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বহিষ্কৃত সব শিক্ষার্থীর তালিকা নিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) হাই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।

পিইসি পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কারের বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল এদিন আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

জামিউল হক ফয়সাল পরে বলেন, বিবাদীদের রুলের জবাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রুলের জবাব না দেওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে দৈনিক দেশ রূপান্তর গত ১৯ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২১ নভেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ হবে না, সেই সঙ্গে এবারের পরীক্ষায় বহিষ্কার হওয়া শিশুদের ফের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পাশাপাশি গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নির্দেশনাবলী’র ১১ নম্বর নির্দেশনা (যার আওতায় শিশুদের বহিষ্কার করা হয়েছে) কেন অবৈধ হবে না- তাও জানতে চায় আদালত।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আদালত বিষয়টি ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রাখলেও তা কার্যতালিকায় আসে বুধবার।

দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ‘অসাধু পন্থা’ অবলম্বন করার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্দেশনাও রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকরা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের এ ধরনের বহিষ্কার তাদের ওপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। যারা পরীক্ষা কিংবা নকল করার বিষয়টিই এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি।

কর্তব্যরত শিক্ষকরা আরও সচেতন হলে এ ধরনের বহিষ্কার এড়ানো যেত। শিশুদের বহিষ্কারের বিষয়টি নির্দেশনায় রাখা কতটা যৌক্তিক তা ভাববার বিষয় রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *